১. সাধারণ অ-স্মার্ট যন্ত্রপাতি বা ডিভাইসকে স্মার্ট ডিভাইসে রূপান্তর করুন।

যেমন সাধারণ ডেস্ক ল্যাম্পকে স্মার্ট ডেস্ক ল্যাম্পে রূপান্তর করা যায়, যাতে মোবাইল ফোন দিয়েই লাইট অন-অফ করা যায়। ডাউনলাইটকে স্মার্ট ডাউনলাইটে রূপান্তর করতে শুধু একটি স্মার্ট সুইচ মডিউল সংযুক্ত করলেই হবে, তারপর Alexa বা Google Assistant দিয়ে লাইট অন-অফ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

২. মোবাইল অ্যাপ দ্বারা নিয়ন্ত্রণ।

মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে ডিভাইস চালু/বন্ধ, সময় নির্ধারণ, কাউন্টডাউন ইত্যাদি ফিচার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যতক্ষণ মোবাইল নেটওয়ার্কে আছে, ততক্ষণ বাসার স্মার্ট সুইচ মডিউল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

৩. ভয়েস কন্ট্রোল।

Tmall Genie, Alexa, Google Home ইত্যাদি ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সাপোর্ট করে, ফলে শুধু ভয়েস কমান্ডেই ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যেমন:
"Alexa, রান্নাঘরের লাইট অন করো" বললেই রান্নাঘরের লাইট চালু হয়ে যাবে।

৪. টাইমিং।

মোবাইল ফোন দিয়ে ডিভাইসের চালু/বন্ধ, সময় নির্ধারণ, কাউন্টডাউন ইত্যাদি ফিচার কন্ট্রোল করা যায়। যেমনঃ
২ ঘণ্টা পরে লিভিং রুমের লাইট বন্ধ করতে সেট করা, বিকেল ৬:১৫-তে ওভেন বন্ধ করা, রাত ৯:০০-টায় বয়লার চালু করা ইত্যাদি।
আপনি বাড়িতে না থাকলেও টাইমিং সেট করতে পারবেন। (APP: Smart Life / TUYA Smart)

৫. গ্রুপ কন্ট্রোল।

একসাথে একাধিক লাইট গ্রুপ করে একযোগে চালু/বন্ধ, টাইমিং ইত্যাদি কন্ট্রোল করা যায়।

৬. ইন্টারনেট অব এভরিথিং।

স্মার্ট দৃশ্য (Scene) সেট করে বিভিন্ন ডিভাইস একে অপরের সাথে লিঙ্ক করানো যায়, যাতে জীবন আরও স্মার্ট হয়।
যেমনঃ Home Scene সেট করলে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে লিভিং রুমের লাইট, টিভি, এসি চালু হয়ে যাবে।


৭. শেয়ারিং এবং সিকিউরিটি।

মূল একাউন্টের মাধ্যমে ডিভাইসের সেটিংস ও ফাংশন পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে শেয়ার করা যায়।
সিকিউরিটি: একবার মূল একাউন্টে ডিভাইস যোগ করলে অন্য কেউ সেটা খুঁজে বা যোগ করতে পারবে না; ব্যবহার করতে হলে মূল একাউন্ট থেকে শেয়ার করতে হবে।

৮. ব্লুটুথ ফাস্ট ম্যাচিং।

ব্লুটুথ চালু করলে, মোবাইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিভাইস খুঁজে নেবে, দ্রুত ও স্থিতিশীলভাবে সংযোগ তৈরি করবে।

৯. স্টেট মেমোরি।

বিদ্যুৎ চলে গেলে ডিভাইস আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। যেমন, আগে চালু ছিল—বিদ্যুৎ ফিরে এলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবার চালু হবে।
(মোড: চালু, বন্ধ, পাওয়ার অফ মেমরি—এই ৩টি সেট করা যায়।
১০. তিন ধরনের সংযোগ পদ্ধতি (২-ওয়ে / ১-ওয়ে / নন-সুইচ)।

সরাসরি ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত করা যায়, সুইচ ছাড়াও কাজ করবে।
এছাড়া, সুইচের পেছনে সংযোগ দিয়ে সিঙ্গেল কন্ট্রোল ও ডুয়াল কন্ট্রোল সুইচ সাপোর্ট করে। সুইচ বোর্ডের ভিতরে ইনস্টল করা যায়।
ডুয়াল কন্ট্রোল সুইচেও ব্যবহার করা যায়, ডুয়াল কন্ট্রোল ফাংশনে কোনো সমস্যা হয় না।

১১. WiFi সংযোগ, গেটওয়ের প্রয়োজন নেই।

DIY (নিজে নিজে তৈরি), সহজ সংযোগ পদ্ধতি—সবাই নিজেই সহজে অ-স্মার্ট ডিভাইসকে স্মার্ট ডিভাইসে পরিণত করতে পারবেন।